চলতি পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার থেকে পযটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে সাতটায় এমভি কর্ণফুলী নামের জাহাজটি কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে যাতায়ত শুরু করেছে।
নাফনদে ডুবোচর জেগে ওঠায় চলতি মৌসুম থেকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখে সরকার। তবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুযোগ রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সাত মাস পর ৭৫০ জন পযটক নিয়ে প্রথম দফায় কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন গেল এমভি কর্ণফুলী নামে একটি প্রমোদতরী।
নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে আসা সম্রাট চৌধুরী জানান, সেন্টমার্টিন ভ্রমনের দীর্ঘ দিনের আশা পূরণ হয়েছে।তবে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে টেকনাফ যাওয়ার পর সেখান থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যেতে পারলে ভালো লাগতো। তাহলে একসাথে মেরিন ড্রাইভও হতো এবং সেন্টমার্টিন ভ্রমনও হতো।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে জেলের জালে ১৪০ কেজির বোল মাছ!
জাহাজটির স্থানীয় পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, সকাল সাতটায় এমভি কর্ণফুলী সেন্টমার্টিনে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৭৫০ জন পযটক সেন্টমার্টিন পৌঁছে। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পযটকদের নিয়ে জাহাজটি পুনরায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে রাত সাড়ে আটটায় বাঁকখালীনদীর বিআইডব্লিউিএ-ঘাটে পৌঁছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাত মাস বন্ধ থাকার পর ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে পযটকের পদচারণা শুরু হচ্ছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। বঙ্গোপসাগরের মধ্যে ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালসমৃদ্ধ এই দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সরকার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।