সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ল্যাব চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৬৯৩ করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ১৪ হাজার ৪৭২জন রোগীকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবের সবশেষ তথ্য থেকে এসব বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবির অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে তথ্য দেয়ার আহ্বান
ল্যাব সূত্র জানায়, গত বছর ১৮ মে শাবিপ্রবির এই ল্যাবটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর পরবর্তী তিন মাসে(মে-জুলাই) ১১ হাজার ৩৪১ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ দাঁড়ায়।
একই বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর এই তিন মাসে ১৭ হাজার ৬২৩ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সংক্রমণের হার ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। এছাড়াও ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১১ হাজার ৬১৫টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ।
পর্যায়ক্রমে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭৬৪টি নমুনায় শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ এবং সবশেষ চলতি বছরের মে মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৯ হাজার ১৫০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভের হার ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া চলতি মাসেই ৮ হাজার ৩৪৮ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ পাওয়া যায়।
ল্যাব সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে সিলেট বিভাগের তিন জেলার (হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ) সর্বত্র ও সিলেট জেলা সদরের আংশিক জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনা শাবিপ্রবির ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ এর অধিক নমুনা ল্যাবে জমা হচ্ছে এবং দুটি পিসিআর মেশিনে ৫০০ এর অধিক নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। পরবর্তীতে প্রাপ্ত ফলাফল জেলাশহরগুলোতে দ্রুতই পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শাবিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় ‘সাস্ট মনের কথা’
বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কোভিড টিম লিডার অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান বলেন, করোনার শুরুর সময় থেকেই শাবিপ্রবির এই ল্যাবটি সিলেট অঞ্চলের মানুষের জন্য আস্থার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষায় আমাদের ল্যাবে করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের মধ্যেই ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সারাদেশের মতো এখানেও সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন আগের চাইতে অনেক বেশি নমুনা জমা পড়ায় ল্যাব স্বেচ্ছাসেবকদের কাজও বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব ও স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।