তারা বলেন, মালিকপক্ষের পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও সকালে দলে দলে শ্রমিকরা তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত হন।
কিন্তু বহু প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে গাজীপুর আসার পর তারা জানতে পারেন যে বিজিএমইএ’র অনুরোধে অধিাকংশ গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক করোনার বিস্তার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে শনিবার মালিকদের আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুরের কামারজুরী এলাকার পেন্ডোরা সোয়েটার কারখানা এবং টঙ্গীর ওরিন গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে বন্ধ ঘোষণা করলে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন।
বিভিন্ন এলাকায় শিল্প পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান।
জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের ছুটি বাড়াতে বিজিএমইএ এর প্রতি আহ্বান জানান। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সরকারের নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
ছুটি ঘোষণা হয়েছে এমন কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের হাজিরা কার্ড জমা রেখে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মোবাইলে বেতন পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
কারখানা ছুটি ঘোষণার পর অসংখ্য শ্রমিক দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের গ্রামের বাড়ির পথ ধরেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে ঘরে ফেরা পোশাক শ্রমিকদের অনেকেই পিকআপ ভ্যান-ট্রাক কিংবা কাভার্ড ভ্যানে চড়ে, এমনকি ছোট ছোট হালকা যানবাহনে করে দূর-দূরান্তের পথে রওনা হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসব যানবাহনের বাড়ি ফেরার পথে কোথাও কোথাও আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েছেন তারা। বাধার মুখে পড়ে ট্রাক-পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে নেমে তারা পায়ে হেঁটেই আবার রওনা দিয়েছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। এদিকে কিছু কিছু কারখানা পিপিই কিংবা মাক্স তৈরির কথা বলে খোলা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।