সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর।
এর আগে ১০ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশির সাথে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগার পর গত ২০ মার্চ ওই নারী শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ২২ মার্চ রবিবার ভোররাতে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় ৬১ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পর তার মুখের লালাসহ অন্যান্য নমুনা রবিবার সংগ্রহ করে আইইডিসিআর। পরে ওইদিনই দুপুরে তাকে সংক্রমণ বিধি অনুযায়ী নগরীর মানিকপীরের টিলা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে গত ৪ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন ওই নারী। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। একই সাথে মারা যাওয়া সেই নারীর পরিবারের সবাইকে বাধ্যতামূলক হোমকোয়ারেন্টাইনে পাঠায় জেলা প্রশাসন।
গত ১০ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ সোমববার পর্যন্ত সিলেট জেলায় ৮০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রবাসী ও তাদের আত্মীয়স্বজন।
অন্যদিকে ১৭ জনের হোম কোয়ারেন্টাইনে মেয়াদ অর্থাৎ ১৪ দিন শেষ হওয়ায় সোমবার তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল। তিনি বলেন, যারাই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদেরকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া যারা হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ করেছেন তাদেরকে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৩৩ জন আক্রান্তের তথ্য জানিয়েছে সরকার। যাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচজন সুস্থ হয়েছেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫১৫ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৫ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ২ লাখ ৬০ হাজার ৩৮১ জন চিকিৎসাধীন এবং ১২ হাজার ৬২ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৪ জনের মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন (৮৬ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ১৬ হাজার ৫১৫ জন (১৪ শতাংশ) রোগী মারা গেছেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস।