স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সড়ক পরিদর্শন শেষে সংস্কার কাজ বন্ধ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, প্রায় ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারের কাজ পায় বিনিময় ট্রের্ডাস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা কাজটি লালমনিরহাটের ঠিকাদার বদিউজ্জমান প্লাবনসহ তার পার্টনারের কাছে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তা নির্মাণের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ অনিয়ম করে আসছিল। এসব অভিযোগ একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোহাম্মদ সামছুজামানকে জানলেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি।
এ অবস্থায় বিকালে স্থানীয়রা রাস্তার কাজ আটকে দেয়। পরে ইউএনও রবিউল হাসান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ খবর পেয়ে কাজ পরিদর্শন করেন।
ইউএনও রবিউল বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিদর্শন শেষে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিদর্শন করে দেখা গেছে, রাস্তার কাজে ফিটনেস কম রয়েছে। প্রকৌশলীকে কাজ বুঝে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
তবে ঠিকাদার বদিউজ্জমান প্লাবন বলেন, ‘আমার লোকজন যেভাবে কাজটি করছেন তাতে ইটের খোয়া কম দেয়ার প্রশ্নই আসে না। স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’
এ বিষয় জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ুবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মিটিংয়ের কথা বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।