বৃহস্পতিবার বিকেলে কালিকাপ্রসাদ এলাকায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা জেলার নিকলী উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ভৈরবগামী অটোরিকশাটির সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে উল্টে যায় এবং ট্রাকটি সড়কের পাশের গর্তে পড়ে।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৩
গুরুতর আহত নিকলী উপজেলার আব্দুল খালেক, ঈসমাইল ও ফরিদ মিয়ার মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশাটি সঠিক পথে চললেও বিপরীত দিক আসা ট্রাকের বেপরোয়া গতি ছিল। হঠাৎ ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালক প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক নিহত
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি আটক করেছে। তবে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’
দেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি:
দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা গত নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে। মাসজুড়ে সংঘটিত ৪১৭ দুর্ঘটনায় ৪৩৯ জন নিহত এবং ৬৮২ জন আহত হয়েছেন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কাটা পড়ে নাটোরে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
সংস্থাটির তথ্যমতে, গত অক্টোবর মাসে ৩১৪ দুর্ঘটনায় ৩৮৩ জন নিহত হন।
গত নভেম্বর মাসে এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এ ধরনের ১২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। যা মোট নিহতের ৩২.১১ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা মোট ঘটনার ৩০.৬৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৪২ শতাংশ। আর যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, যা মোট নিহতের ১১.১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাস চাপায় ২ ভাই নিহত
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। রাজধানীতে ১১১ দুর্ঘটনায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২২ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ১০ বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।