নিহতের মা বাদী হয়ে ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার প্রধান আসামি রেজাউল করিমসহ (৪০) কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রেজাউল কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের উত্তর চান্দলা গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন:স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম ও নিহতের গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক মুন্সির ছেলে বাবুল মিয়া (৪২) গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের বাড়িতে যায়। তারা তিন হাজার টাকা বেতনে রেজাউলের বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। পরিবারের অস্বচ্ছলতার কথা ভেবে রেজাউল করিম ও বাবুল মিয়ার কথায় রাজি হয় ভিকটিমের পরিবার। পরে একইদিন সন্ধ্যায় রেজাউল ও বাবুল মিয়া বাসায় কাজ করার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে যায়। পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহতের বোন জানতে পারে, কুমিল্লা আড়াইওড়া আব্দুল খালেকের ডোবার পাশে এক নারীর মরদেহ পড়ে রয়েছে। তাদেরকে লাশ শনাক্তের জন্য ডাকা হয়। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটির পরিহিত জামা কাপড় দেখে মরদেহ শনাক্ত করে।
আরও পড়ুন:বিয়ের পাত্র দেখানোর কথা বলে খুলনায় স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’
নিহতের মা বলেন, ‘মরদেহ শনাক্তের সময় আমরা মেয়ের পরিহিত জামা কাপড় ছেঁড়া এবং দেহের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড়সহ আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই।’
পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের মা আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে পরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং লাশ গুম করার চেষ্টা করেছে। এই ব্যাপারে আমি কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় রেজাউল করিম ও বাবুল মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।’
পরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি রেজাউল করিমকে তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা থেকে গ্রেপ্তার করে।
ভিকটিমের মা বলেছেন, ‘মামলা তুলে নেয়ার জন্য অপর পলাতক আসামি বাবুল মিয়া ও গ্রেপ্তারকৃত রেজাউল করিমের পরিবার হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি।’
আরও পড়ুন:ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার নারীর ছবি ও পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এস এম আরিফুর রহমান বলেন, তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।