এসময় তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর মনোগ্রাম সম্বলিত আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যাডে লেখা ভুয়া নিয়োগপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় তাকে লালমাই উপজেলার দত্তপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হুমায়ুন কবির নামে ভূক্তভোগী এক ব্যক্তি বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়েরের পর দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রতারক সাগর বোগদাদী নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল পরিচয় দিয়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত ছবি যুক্ত আইডি কার্ড দেখিয়ে নিরীহ মানুষের মাঝে বিশ্বাস তৈরি করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে ১১ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে লালমাই উপজেলার দত্তপুর গ্রামের হুমায়ন কবির, সেলিম আহমদ, জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ওমর ফারুক, রোকসানা আক্তারসহ অন্যান্যদের কাছ থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার ৬শ টাকা হাতিয়ে নেয়।
বুধবার বিকালে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড সরবরাহের জন্য সে দত্তপুর আসে। কিন্তু প্রতিশ্রুত পদের সাথে আইডি কার্ডের পদ মিল না থাকায় ভুক্তভোগীদের বিষয়টি সন্দেহ হয়। পরে নিয়োগপত্রের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে প্রতারককে বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক দ্রুত গাড়ি নিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। খবর পেয়ে লালমাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুয়া আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, সেনাবাহিনীর প্যাডে ভুয়া নিয়োগপত্রসহ তাকে আটক করে।
লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ূব জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল পরিচয় দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে প্রতারণাপূর্বক টাকা আত্মসাত করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক সাগর বোগদাদী স্বীকার করেছে।
তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় ২টি, বুড়িচং থানায় ১টি এবং রাঙ্গামাটি সদর থানায় ১টি মামলা রয়েছে।