নিহতরা হলেন- কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঘোড়াময়দান গ্রামের মৃত আবদুর জব্বারের ছেলে জসিম উদ্দিন (৪৫), তার মা সাকিনা বেগম (৭০), স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪০), ছেলে শিপন (২৩) ও হৃদয় (১৫), মেয়ে নিপু আক্তার (১৩), হোটেল বয় একই গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে সায়মন (১৫) এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক একই উপজেলার করপাতি গ্রামের মৃত জিতু মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন (৩০)।
জসিমের পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য রিফাতকে (১০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জসিম উদ্দিনের ভাই মো. মহসিন জানান, জসিম উদ্দিন তার মা, স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে নিয়ে কুমিল্লা নগরীর গাংচরে থাকতেন। পাশের গোয়াল পট্টিতে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা ছিল তার। কোরবানির ঈদের ছুটিতে স্বপরিবারে বাড়িতে আসেন তিনি। ঈদের ছুটি শেষে সবাই মিলে সিএনজি অটোরিকশাযোগে কুমিল্লা যাচ্ছিলেন।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে একটি বাস ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার পাঁচজন যাত্রী মারা যায়। আহত হয় চারজন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের বাঘমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে আসে লাকসামগামী তিশা বাস সার্ভিস লালমাই উপজেলার জামতলীতে আসলে একটি মাইক্রোবাসকে বাঁচাতে গিয়ে লেন পরিবর্তন করে। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।