কুষ্টিয়ায় ঘুষ নেয়ার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা জেলার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাহামুদ আলমকে (৫৩) তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামীকে পুলিশ পাহারায় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
সাজাপ্রাপ্ত মাহামুদ আলম কুষ্টিয়া ছয় রাস্তার মোড় থানাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল বারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় মুফতি ইজহারের ২ বছরের কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায় যশোর ডিভিশনের আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এম কামাল এন্টারপ্রাইজসহ আরও ১০টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয় এবং তাদের পক্ষে একজন ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম কাজ করেন। তিনি ১১টি প্যাকেজের কন্সট্রাকশন কাজের ৪৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকার সরকারি কাজ সম্পন্ন করেন। ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ আলম ওই ছয়টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য দরখাস্ত করার সময় ঠিকাদার খাইরুল ইসলামের কাছ থেকে দুই লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। পরবর্তীতে ওই টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়া হলে অভিযোগকারীকে ছয়টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য দরখাস্তে মেমো নম্বর দেয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলেন।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখে ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনক্রমে দুদক বরাবর সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বে একটি টিম ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম কর্তৃক ঘুষের ৫০ হাজার টাকা দেয়ার সময় চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারীর প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ আলমকে হাতে নাতে আটক করে।
এ ব্যাপারে দুদকের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: হোসেনী দালান বিস্ফোরণ মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড, ৬ জনের খালাস