কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষজন। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম।
এ অবস্থায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠাণ্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের দিনমজুর মনসুর আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব শীত। মাঠে কাজ করতে সমস্যা হয়। এখনো কেউ কম্বল দেয় নাই। কম্বলের খুব দরকার।’
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা নদী ও চরাঞ্চল। সবচেয়ে শীত অনুভূত হয় এখানে। সরকারিভাবে এখনো কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। শীত বস্ত্র পেলে এখানে বিতরণ করা হবে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরো কমেএই জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন