এ অবস্থায় ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের। গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শিশু-বৃদ্ধসহ শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না মেলায় বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস জানায়, শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বৃহস্পতিবারের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
কৃষি আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, ‘দুই একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরো কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।’
এমন পরিস্থিতিতে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত কমানোর চেষ্টা করছেন জেলার চরাঞ্চলের মানুষেরা। চরাঞ্চলের বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশু নিয়ে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বাসিন্দা মঈনুল হক বলেন, এমনিতেই আমরা চরের মানুষেরা অভাবে থাকি। গরম কাপড় কেনার টাকা পয়সা বেশিরভাগ মানুষের নেই। তাই শীতের সময় খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডায় কাজে যেতেও সমস্য হয়। বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, ‘গত তিন দিন ধরে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। তবে মানুষ যে খুব কষ্টে আছে সেটা আমরা মনে করছি না। ইতিমধ্যে আমরা সরকারিভাবে যথেষ্ট শীতবস্ত্র বরাদ্দ পেয়েছি। নগদ কিছু টাকাও আমাদের হাতে আছে। প্রয়োজন মনে করলে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫১৪টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।