বৃহস্পতিবার ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরের নিচু এলাকার বেশ কিছু আমন ও সবজি খেত ডুবে গেছে। বেশ কিছু ঘরবাড়িতেও পানি উঠেছে। পানি বাড়ার ফলে বিভিন্ন এলাকায় নদ ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায় যে রোপা আমন, চিনাবাদামসহ ৫ হাজার ১৩৪ হেক্টর জমির সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উলিপুরের চর বজরা, সদর উপজেলার সারডোব ও মোঘলবাসা, ফুলবাড়ীর চর মেকলি এবং ভুরুঙ্গামারীর ধাউরারকুঠিসহ ৬৭টি পয়েন্টে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দুই দিনে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধশত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিনে উজানের বৃষ্টিপাত ও দেশের ভারী বৃষ্টির জন্য বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর পানি এখন বিপদ সীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত এগুলোর বিপদ সীমা অতিক্রম করার সম্ভবনা কম আছে। সেই সূত্রে আমার মনে করছি সম্প্রতি যে বন্যা তৈরি হয়েছে, এ পানি দ্রুত নেমে যাবে এবং খুব সহসা আমরা বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাব।’