রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কৌশলে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো এক স্কুলছাত্রী। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই অপহরণচেষ্টার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাড়িতে ইউএনবিকে ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ওই দিন সকাল ৭টার দিকে সে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে প্রাইভেট পড়তে যায়। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ রেলগেট পার হওয়ার পর স্থানীয় আব্দুল মান্নানের বহুতল ভবনের সামনে নীল রঙের একটি মাইক্রোবাস তার পথরোধ করে। মাইক্রোবাসে বোরকা পড়া এক যুবতী ও তিন তরুণ ছিল। ওই নারী নাম জিজ্ঞাসা করে আচমকা টান দিয়ে গাড়িতে তুলেই দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের দিকে রওনা করে। এসময় কাঁধ থেকে স্কুল ব্যাগটি পড়ে যায়। তাকে মাঝে রেখে ডানপাশে ওই নারী এবং বাম পাশে এক তরুণ বসা ছিল। এরপর সে অচেতন হয়ে পড়ে।
স্কুলছাত্রী আরও জানায়, দুপুর বারোটার দিকে নবীনগরে মাইক্রোবাস থামায়। জ্ঞান ফিরলে দেখতে পায় ওই নারী ডান হাত ধরে আছেন। বাম পাশের তরুণ নেই, গাড়ির দরজা খোলা। সে ওই নারীকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে নেমেই দৌড় দিয়ে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে আশ্রয় নেয়। এসময় স্থানীয় বয়স্ক এক ব্যক্তির কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। চক্রের সদস্যরা কিছুদূর পিছু নিয়ে কেটে পড়ে। পরে ওই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে ফোনে বিষয়টি জানান। রাতেই বাবা-মার সঙ্গে বাড়িতে ফিরে যায় সে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা
নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার এক সেলুন মালিক বলেন, আমি চা খাচ্ছিলাম। এসময় অল্প বয়সের ওই মেয়েকে আতঙ্কগ্রস্ত দেখে কি হয়েছে জানতে চাইলাম। পরে সে বিষয়টি খুলে বললে নাম্বার নিয়ে তার বাবা-মাকে ফোনে জানাই।
স্কুলছাত্রীর মা বলেন, মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়নি জেনে সবাই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিতে থাকি। পথে স্কুল ব্যাগ পড়ে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে সবাই ধারণা করে অপহরণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ ফোন করে জানানো হলে গোয়ালন্দ ঘাট থানাকে অবগত করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন,‘ এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরপরও আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’