খুলনার পাটকলগুলোর শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব মেনে রবিবার ভোর ৬টা থেকে উৎপাদন শুরু করে।
উৎপাদন শুরু হওয়া পাটকলগুলো হচ্ছে- ক্রিসেন্ট জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলিম জুট মিল' ইস্টার্ন জুট মিল ও জেজেআই জুট মিল।
বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) খুলনা আঞ্চলিক সম্বয়কারী মোঃ বনিজ উদ্দিন মিঞা জানান, খাদ্যবিভাগ ও বিএডিসির জরুরি বস্তা সরবরাহের জন্য খুলনার কার্পেটিং জুটমিল ছাড়া অন্য সবকটি মিল আংশিকভাবে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেএমসি। যে কারণে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে মিল বন্ধ থাকার পর আজ আবার চালু হল।
তবে মিলগুলোতে সতর্কভাবে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছে শ্রমিকরা বলে জানান মিলের প্রকল্প প্রধানরা।
বিজেএমসি’র তথ্য অনুযায়ী, খুলনা অঞ্চলের ৯টি পাটকলে প্রায় ১০ হাজার স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির আওতায় পাটকল বন্ধ রাখা হয়। তবে চাল ও বীজের মোড়কে পাটজাত বস্তার সংকট তৈরি হলে সীমিত আকারে পাটকলগুলো চালুর উদ্যোগ নেয় বিজেএমসি। গত ২৩ এপ্রিল প্লাটিনাম জুট মিলের বোর্ডরুমে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রকল্প প্রধানদের সাথে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে পাটকল চালু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
তবে শনিবার বিকালে বৈঠক করে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শুধুমাত্র স্ব স্ব মিল কলোনীতে অবস্থানরত শ্রমিকরাই কাজে যোগ দিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পাটকল চালু হলেও করোনার কারণে বিদেশে এখনই পাটপণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। তবে খাদ্য অধিদপ্তর ও বিএডিসি’র চাহিদা অনুযায়ী বস্তা তৈরি হলে দেশের অভ্যন্তরে তা বিক্রি করা যাবে। এতে বকেয়া পরিশোধ করা সহজ হবে।