এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তাদের নাম, ঠিকানাসহ তালিকা আগামী ১১ এপ্রিল হাইকোর্টে দাখিল করতে দুদককে বলা হয়েছে। একই সাথে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদককে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদককে ঢোঁড়া সাপ হলে হবে না, জাত সাপ হতে হবে: হাইকোর্ট
গত ১৪ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে ‘দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ মাসে তিনি দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।’
আরও পড়ুন: বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার বিষয়ে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
এই প্রতিবেদন আদালতের নজরে নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
২০১৬ সালের ১০ মার্চ ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। চলতি বছরের ১০ মার্চ তিনি অবসর নেন।
আরও পড়ুন: হিসাব বিবরণী প্রকাশ করলে দুদকের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে: হাইকোর্ট