রংপুর জেলার শালবন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসামিদের হয়রানি করার জন্য এমন ঘটনা সাজিয়ে মামলা করা হয়েছিল। আর উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ বলছেন স্বামীর অত্যাচারে এতদিন পালিয়ে ছিলেন তিনি।
উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ রৌশন আরা বেগম রিক্তা সদর উপজেলার পশ্চিম কুপতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য রিক্তার ওপর অত্যাচার করতে থাকেন শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এ অবস্থায় ২০১১ সালের ২২ জুলাই নিখোঁজ হন রিক্তা।
এ ঘটনায় রিক্তাকে হত্যা করে লাশ গুমের অভিযোগ এনে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন রিক্তার বড় বোন মুক্তা বেগম। আসামি করা হয় রিক্তার স্বামী রফিকুলসহ চারজনকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয় আসামিদের।
কিছুদিন আগে রফিকুল থানায় এসে জানায় মিথ্যা অভিযোগে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে রিক্তা রংপুরের কোনো এক স্থানে আত্মগোপন করে আছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রিক্তার খোঁজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের শালবন এলাকা থেকে কথিত মৃত রিক্তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রিক্তা জানান, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তিনি এতদিন ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, রিক্তা বর্তমানে থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।