এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার বিকালে গ্রেপ্তার দুজনকে পাঠানো হয় আদালতে।
তারা হলো- যশোরের ঝিকরগাছা থানার কুন্দিপুর এলাকার মো. আব্দুল করিমের ছেলে মো. রাসেল ওরফে রাহুল (১৪) ও গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার বাগবাড়ী এলাকার নসিব সিকদারের ছেলে সবুজ (১৪)।
গাজীপুর পিবিআই কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গত ২৯ অক্টোবর বাগবাড়ী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের বালুর নিচ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক শিশুর মাথার খুলি, ১৯টি হাড়, চামড়া ও একটি হাফপ্যান্ট উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটি ওই এলাকার মনোয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে রিয়া মনি বলে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
শিশু নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও মরদেহ উদ্ধারের পর ৩০ অক্টোবর শিশুটির মা শ্যামলী বেগম অজ্ঞাতদের আসামি করে কাশিমপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শিশুটির বাবা-মা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
আলোচিত এ মামলা পিবিআইতে এনে রবিবার রাত ১০টার দিকে কুন্দিপুরের নিজ বাড়ি থেকে রাহুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে তার সহযোগী ও বন্ধু সবুজকে বাগবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই কিশোর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, তারা শিশুটিকে বিভিন্ন সময় চকলেট ও বিস্কুট কিনে দিত। ঘটনার দিন গত ৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা দুজন মিলে রাহুলের ঘরে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। সে ঘটনাটি তার বাবা-মাকে বলে দেয়ার কথা বললে তারা তাকে গলা টিপে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ বালুর নিচে চাপা দেয়।