তারা হলেন- আবু তাহের (৬০), তার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৫০) ও তাদের দেড় বছরের নাতি রাশেদ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের প্রধান ডিএডি ফরিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, শুক্রবার রাতে একে খাঁন ইস্পাহানি গেট সংলগ্ন আজম নগর বস্তিতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
বস্তির বাসিন্দারা জানান, আগুনে অর্ধ শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। তিনজন নিহত ও অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে বস্তিতে আগুন লাগে। আগুনের তীব্রতা ছিল বেশি। খবর পেয়ে নগরীর বিভিন্ন স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের আটটি গাড়ি ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরই এক নারী ও এক শিশুসহ তিনজনের পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়।
আবু তাহেরের বড় ছেলে মো. বাবুল বলেন, ‘আমার ছোট বোন আহেলা বেগমের একমাত্র ছেলে রাশেদ আমার মায়ের বুকের মধ্যেই আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। ঘরের চারদিকে আগুন লেগে যাওয়ায় তারা বের হতে পারেননি। আমার মা-নাতিকে বুকে নিয়ে বের হওয়ার জন্য এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করেছেন।