সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে রবিবার রাত ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ অন্যরা হলেন- মিজানুর, সাইফুল, সুলতানা, মানহার,মাহের, রিয়াজ, জাহান ও সুমাইয়া।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে মিজানুরের শরীরের শতকরা ৪৮ ভাগ, সাইফুলের ২২, সুলতানার ২০, মানহার ২০, মাহেরের ৫, পেয়ারার ৬০, রিয়াজের ১৮, জাহানের ১২ ও সুমাইয়ার ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে।
এ ঘটনার পর সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, পরে তিনি হাসপাতালেও যান।
এসময় তিনি বলেন, গ্যাস লাইনে ত্রুটি কিংবা কারো কোনো গাফিলতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, আগুনে এক পরিবারের সাতজনসহ মোট ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগেছে বলে মনে হচ্ছে। ভবনের প্রতিটি রুমে আগুনের চিহ্ন রয়েছে।