চট্টগ্রামে গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে মহানগরীর কয়েকটি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে খুলশী থানার লালখান বাজার বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটিতে তিন দফা পাহাড় ধস হয়েছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পাহাড় ধসের কারণে চলাচলে তৈরি হয় প্রতিবন্ধকতা। ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচ পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর আগে বুধবার রাতে বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী ৪ শতাধিক মানুষকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা: ৪ শতাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে
পাহাড় ধসের সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান জানান, একটি পাহাড়ের কিছু অংশ ধসে পড়ার খবর পেয়ে প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। পাহাড় ধসে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে দুপুরে নগরীর আমবাগান ফ্লোরাপাস এলাকার বালিকা সদন এতিমখানার একে খান এলাকায়ও পাহাড় ধসে পড়ে। পরে সেখান থেকেও দুপুরের পর থেকে মাটি সরানো কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৫ জন নিহত
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, টানা বৃষ্টিপাতে মাটি ক্ষয়ে উঁচু পাহাড়ের বড় একটি অংশ ধসে পড়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে আরও পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি রোধে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ২ রোহিঙ্গা নিহত