চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে নিখোঁজ দুই মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। রবিবার (২ এপ্রিল) রাতে নগরীর হালিশহর থানাধীন সিএন্ডবি ও খুলশীর মাস্টার লেইন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার দুই শিশু হলো-হালিশহর থানার রামপুর এলাকার মো. আলমগীরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা (৯) এবং খুলশীর সেগুন বাগান এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে জান্নাত আক্তার (৯)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চীনা প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার
হালিশহর থানা পুলিশ জানায়, ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় লেখাপড়ার জন্য তার মা শাসন করলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় মাইশা। দীর্ঘসময় ধরে খোঁজাখুজির পর না পেয়ে গত ২৯ মার্চ মাইশার পরিবার হালিশহর থানায় একটি নিখোঁজ মামলা করে।
এরপর পুলিশ ছয় সদস্যের একটি টিম গঠন করে নগরীর মনসুরাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, আমবাগান ও পলোগ্রাউন্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় বসানো সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে মাইশার গতিবিধি অনুসরণ করা হয়।
পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির উদ্দিন বলেন, ২৮ মার্চ মাইশা বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত ৯টার দিকে নতুন রেলস্টেশনের ৩ নম্বর পিলারে একা বসে থাকে। সেখানে ২ নম্বর পিলারে বসে ছিল মো. টিপু নামের এক ব্যক্তি। টিপু যখন সেখান থেকে উঠে চলে যাচ্ছিল তাকে অনুসরণ করতে থাকে মাইশা।
টিপু মাইশাকে তার নাম-ঠিকানাসহ পরিচয় জানতে চাইলে উত্তর দিতে পারেনি। তখন টিপু আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করে কোন সাড়া পায়নি। পরে শিশুটির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তার বাসায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ২৭ মার্চ রাত নয়টার দিকে নগরীর খুলশী সেগুন বাগান এলাকার ভাইয়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় ৯ বছর বয়সী শিশু জান্নাত আক্তার। শিশুটির মা ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে খুশলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, খুলশী মাস্টার লেইন এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ে কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসা থেকে জান্নাতকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারী এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে দুদকের মামলা থেকে ৫ জনকে অব্যাহতি দিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন