গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দেয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে চার শতাধিক মানুষকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ করে তাদের চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর নেতৃত্বে মহানগরীর ছয়জন এসিল্যান্ড, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৫ জন নিহত
বুধবার রাত ৯টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বাটালিহিল, আকবরশাহ, হিল-১, হিল-২, লিংক রোডসহ বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ১০৫টি পরিবারের চার শতাধিক সদস্যকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তাদের আল হেরা মাদ্রাসা, রউফাবাদ রশিদিয়া মাদ্রাসা, ফিরোজ শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালখান বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আনা পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুনাখিচুড়ি ও ডিম সরবরাহ করা হবে। রাতের খাবারের ব্যাবস্থাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা: ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরাতে মাইকিং
পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং চলমান রয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনার কাজ রাতেও অব্যাহত রেখেছে।
কাট্টলী এলাকার এসিল্যান্ড এনামুল হক জানান, নগরীর আকবর শাহ এলাকার ফিরোজ শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে শিশুসহ নিহত ৫