চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকার বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। সেই সাথে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অন্তত অর্ধশত ঘর।

আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ে দোকান কর্মচারীর মৃত্যু

মঙ্গলবার ভোরে ইপিজেড সংলগ্ন রেলওয়ে বস্তিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত বৃদ্ধ ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ নওশেদ (৮৩)।

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আগুনে কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, আগুনের খবর পেয়ে ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনসহ অন্য দুটি স্টেশনের মোট আটটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকালের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বস্তি থেকে একজন বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে মার্কেটে আগুন

দুর্ঘটনায় ৫০টির মতো বস্তিঘর পুড়ে গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত এডি ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি একই বস্তিতে আগুন লেগেছিল। খবর পেয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও নগরীর বিভিন্ন স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: যশোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আগুনে পুড়ে নিহত, দগ্ধ অবস্থায় স্বামী আটক

তখন স্থানীয়রা জানিয়েছিল, চুলার আগুন থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। আগুনে প্রায় অর্ধশত বস্তিঘর পুড়ে যায়।

দুর্বল বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা এবং অসচেতনতার কারণে দেশে আগুন লাগা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে বিপুল সম্পদ হানির পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এসএম কেমিকেল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে আলমগীর হোসেন (৩০) নামে একজন শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনায় আরও চার দগ্ধসহ কমপক্ষে ৩২ জন আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াইগ্রামে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, আগুন লাগা ভবনের নিচতলা থেকে রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। 

এর আগে, গত ১১ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয় এলাকার এক টিনশেড কলোনিতে আগুনে পুড়ে স্বামী-স্ত্রীসহ চার পোশাক শ্রমিক নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। সকাল পৌনে ৬টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগে আগুনে কলোনির ৪৬টি ঘর পুড়ে যায়।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে জুতার কারখানায় আগুনে পুড়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু