সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: চোখ রাঙাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
তারা হলেন- সুনীল কুমার (৩৮), চ্যাটান শর্মা (৩৩) ও সানী ম্যাগু (৩২)। তারা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে জানালেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের সাত দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে শনিবার দুপুরে নগরীর সাগরিকা এলাকায় স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশপথ থেকে ওই তিনজনকে আটক করে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এর সদস্যরা। পরে তাদের পাহাড়তলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন রবিবার বিসিবির সুপারভাইজার আরেফিন হোসাইন তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: জয়ের জন্য উইন্ডিজের প্রয়োজন ২৮৫ রান, টাইগারদের ৭ উইকেট
ক্রিকেটের নির্দিষ্ট বল দিয়েই ক্রিকেট খেলতে হবে: মাশরাফি
চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেই গেল বাংলাদেশ। ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্সের দানবীয় ইনিংসে ভর করে স্বাগতিকদের ৩ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
কাইল মায়ার্স ২০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ২১০ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া এনক্রুমা বোনার করেন ৮৬ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করে। রবিবার শেষ দিনে এই ম্যাচটি জিততে সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ২৮৫ রান। অন্যদিকে সাত উইকেট নিলেই দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেত টাইগাররা।
চতুর্থদিন শেষে এনক্রুমা বোনার ও কাইল মায়ার্স যথাক্রমে ১৫ ও ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। রবিবার শেষদিনে এই জুটিই যেন বাংলাদেশের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ২১৬ রানের বড় জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানো সফরকারীরা চতুর্থ উইকেট হারায় ২৭৫ রানে।
আরও পড়ুন: বিসিবিতে নতুন ভূমিকায় আসতে যাচ্ছেন শাহরিয়ার নাফীস
বোনার ৮৬ রানে আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকানো মায়ার্স। তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন এই বামহাতি ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ ৪টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া তাইজুল ২টি ও নাইম ১টি উইকেট লাভ করেন।