নিহতরা হলেন- রোকনুজ্জামান রোকন (৩৫) ও মোহাম্মদ ইরান (৩৫)।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা গ্রামে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোকনুজ্জামান রোকন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুরের আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে রোকনুজ্জামানকে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী দাবি করছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, মাদক, চোরাচালান, ডাকাতি, অপহরণসহ ১০টি মামলা রয়েছে বলেও দাবি পুলিশের।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাসের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা এলাকার একটি বাঁশবাগানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ীদের দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় উভয় পক্ষই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
ওসির দাবি, প্রায় আধাঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রোকরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি, দুইটি কার্তুজ, এক বস্তা ফেনসিডিল ও দুইটি রাম দা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, রোকরুজ্জামানকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চাম্বল এলাকায় শুক্রবার সকালে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোহাম্মদ ইরান (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা ইরানকে জলদস্যু দাবি করছে র্যাব।
র্যাবের চাঁদগাও ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মেহেদি হাসানের ভাষ্য, সকাল ৮টার দিকে র্যাব-৭ এর একটি টহল দল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। এসময় র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে অন্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ইরানের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
র্যাবের ওই কর্মকর্তার দাবি, ঘটনাস্থল থেকে ১ টি বিদেশি পিস্তলসহ ১৩ টি অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।