আরও পড়ুন: কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনপদ
জেলায় মধ্য বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশা ও হিম বাতাসে সূর্য তার উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। শীতের তীব্রতার ব্যাপকতা ছড়ালে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে স্বল্পআয়ের মানুষেরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে
দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবিকার উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কনকনে শীতের মধ্যেই সকালে শ্রমজীবী মানুষেরা কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বের হলেও তাদের বেশিরভাগ কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরছেন। এছাড়া ছিন্নমূল অসহায় মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই এ মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এরকম পরিস্থিতি আরও দুয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপর দিকে, উত্তর বঙ্গের জেলা কুড়িগ্রামে আজ সোমবার ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে
কনকনে ঠান্ডায় এই অঞ্চলের জনপদ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বোরো আবাদ থমকে গেছে, কর্মজীবীরাও চরম বিপাকে পড়েছেন। জেলা প্রশাসন ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে দিনমজুর, নিম্ন আয়ের ও চরাঞ্চলের মানুষ প্রচণ্ড শীতে কষ্ট পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড শীতে চরম দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের মানুষ
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, সরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য ৫৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারিভাবে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পুরো কুড়িগ্রাম