এর আগে গত সোমবার সকালে উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের সিংহেরনন্দন গ্রামে শাহনাজ বেগম (৬৫) নামে ওই বৃদ্ধাকে গোপনে দাফন করার সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ইউপি সদস্য আলমাছ মোল্লা বাধা দেন। পরে দাফন করার আগে তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরএ পাঠানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার জানান, ওই বৃদ্ধার পরিবারের সাত সদস্যকে আগেই তিনদিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এখন তাদের বাড়িঘর লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া তার সংস্পর্শে আসা লোকজন শনাক্তেরও চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, মৃত শাহনাজ বেগম সিংহের নন্দন গ্রামের তোফাজ্জল মৃধার স্ত্রী ছিলেন। তারা সপরিবারে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শাহনাজ বেগম ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, শাহ আলম (৭৩) নামে এক সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তবে সে করোনায় মারা গেছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তাকে গতকালই কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তার সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট এখন এসে পৌঁছায়নি। তার বাড়ি উপজেলা কলমা গ্রামের কলমা বাজারের পাশে।
মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ জনে। নারায়ণগঞ্জের মৃত ওই বৃদ্ধার নমুনা যেহেতু মুন্সীগঞ্জ থেকে পাঠানো হয়েছিল, তাই মুন্সীগঞ্জের সাথে এটি গণনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলায় নতুন করে করোনা অক্রান্তের সংখ্যা আর বাড়েনি। এ পর্যন্ত ১৬৫ জনের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৪৭ জনের রিপোর্ট এসেছে। বাকি ১৮ জনের নমুনা আজ বুধবার আইইডিসিআর মুন্সীগঞ্জ থেকে নিয়ে গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মুন্সীগঞ্জ সদরে ২ জন, গজারিয়ায় ৬ জন, টঙ্গীবাড়িতে ৬ জন, সিরাজদিখানে ৩ জন, শ্রীনগরে ১ জন এবং লৌহজং উপজেলায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত ১৭ জনই এখনও সুস্থ আছেন। টঙ্গীবাড়ির তিনজন এবং গজারিয়ার একজন বাদে বাকি ১৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বা যাচ্ছেন। বাকিরা বাড়িতেই আইসোলেশনে সুস্থ আছেন।