টিকটক ও লাইকি ভিডিও তৈরির ফাঁদে ফেলে সিলেটে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে বাদী হয়ে শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কিশোরীর বাবা।
মামলার আসামিরা হলেন, গোলাপগঞ্জ থানার বাণীগাজী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে টিকটকম অভিনেতা মো. জুবের আহমদ ফান্নি ও টিলাগড়ের অভিনেত্রী লিজা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুরের সোনিয়া আক্তার (ছদ্ম নাম) বেশ কিছুদিন যাবৎ লাইকি টিকটকের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। গত প্রায় মাস খানেক আগে সিলেট নগরীর টিলাগড়ে বসবাসরত লাইকি অভিনেতা লিজা নামক এক মেয়ের সাথে সোনিয়ার পরিচয় হয়। লিজার মাধ্যমে সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়া মোহিনী ৮৩/এ এর বাসিন্দা আব্দুল লতীফের ছেলে জুবের আহমেদ ফান্নির সাথে সোনিয়ার পরিচয় ঘটে। গত ঈদের পরবর্তী সময়ে জাফলংয়ে লাইকিতে শুটিংয়ের জন্য লিজা সোনিয়াকে প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি সোনিয়া তার বাবার সাথে শেয়ার করলে সোনিয়ার বাবা লিজার সাথে ফোনে কথা বলে মেয়েকে অভিনয়ের জন্য যাওয়ার অনুমতি দেন।
গত ১৯ মে সোনিয়ার এক আত্মীয়ের বিশ্বনাথের বাসা হতে ফান্নি ও লিজা তাকে একটি সিএনজিতে করে নিয়ে আসে। সিলেটে আসার পরে শাহপরান থানাধীন লামাপাড়া এলাকায় মোহিনী ৮৩/এ বাসার যায় তারা।
লিজা সোনিয়াকে ওই বাসায় রেখে পোশাক পরিবর্তন করার কথা বলে চলে যায়। এরপর ফান্নি সোনিয়াকে নাস্তা ও কোল্ড ড্রিংকস খেতে দেয়। সোনিয়া তা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে বান্ধবী লিজা ও তার বাবাকে ফোন দেয়ার চেষ্টা করলে ধর্ষক তার ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে প্রচুর মারধর করে। এক পর্যায়ে ফান্নি সোনিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে সোনিয়া ওই ঘটনা কারো কাছে যাতে না বলে সেই বিষয়ে ফান্নি সতর্ক করে হুমকি দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় সোনিয়াকে বিশ্বনাথে সেই আত্মীয়র বাসায় সামনে নামিয়ে দিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ
সেখান থেকে সোনিয়াকে বাড়িতে নেয়া হলে বিস্তারিত জেনে প্রথমে সিলেট র্যা ব-৯ ও পরবর্তীতে শাহপরান থানার সহায়তা নেন ভোক্তভোগীর বাবা।
পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আসক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সোনিয়াকে ওসমানী মেডিকেলের ওসিসি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি করে চিকিৎসা শেষে শাহরান (রহঃ) থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে ফান্নির মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) অঞ্জন সিংহ বলেন, থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। পুলিশের পক্ষ হতে আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সকল ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।