ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া জামাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাংবাড়ি গ্রাম থেকে শাশুড়িকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী নাসিরুল ওই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, একই এলাকার করিমুল ইসলামের মেয়ে কেয়ামনির (১৮) সাথে নাসিরুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলাকালে গত ৯ সেপ্টেম্বর দু’জন গোপনে বিয়ে করে ও নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করে।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিআইডি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
এদিকে, বিয়ের পর ছেলের পরিবারকে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ দেয় মেয়ের পরিবার বিয়ে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরবর্তীতে ছেলের বাবা, চাচা এবং মেয়ের বাবা ও ফুপা মিলে ছেলে ও মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে। ছেলে ও মেয়ে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে। এ অবস্থায় গত ২০ সেপ্টেম্বর নাসিরুল শশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাকে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নাসিরুলকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর ) রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দেবিদ্বারে কিশোরীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৪
এ ঘটনায় নাসিরুলের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় চার জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার মেয়ের মাকে আটক করে পুলিশ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, নাসিরুলের বাবার লিখিত এজাহারের প্রেক্ষিতে মেয়ের মাকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।