ঠাকুরগাঁও, ১৫ জুলাই (ইউএনবি)- ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীকে অবরুদ্ধ করে বিদ্যালয় ভবনে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বুধবার বিকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি বালিয়াডাঙ্গী থানায় অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৮৬
অভিযুক্ত তিন জন হলেন, উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বড় গোছিয়া গ্রামের সামশুল হুদা (৫৮), তার ভাই আব্দুল গফুর (৫২) ও তার পুত্র মিজারুল ইসলাম (২৬)। প্রধান শিক্ষক নগেন্দ্র নাথ পাল জানান, উল্লিখিত আসামিদের বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে আগুন লাগানোর পর ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যাওযার সময় চার ব্যক্তি ও পাশের আম বাগানের পাহাড়াদার টর্চ লাইটের আলোতে আসামিদের চিনতে পেরেছেন। তাদের নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘স্থানীয় লোকজন ও স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’- বলেন তিনি।
বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই ফরিদা জানান, বুধবার বিকালে বড়পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের একটি লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ টিসিবির পণ্য উদ্ধার
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন। বুধবার বিকালে তিনি বলেন, ‘আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টির আশ-পাশে থাকা লোকজনের সাথে কথা বলেছি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। তদন্তে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ১২টায় উপজেলার বড়পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীকে একটি ঘরে আটকে রাখে দুর্বৃত্তরা। তারা ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে মালামাল লুটপাট করে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিদ্যালয়টির ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।