ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নে অনেক রাত নিদ্রাহীন থেকেছে গোপালগঞ্জের তিথি রায়। তবে যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি সে। তাইতো স্বপ্ন ভাঙার নিদারুণ কষ্টে কেন্দ্রের বাইরে কান্নায় ভেঙে পরে তিথি। শেষমেশ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিঁড়ে কেন্দ্র ত্যাগ করে তিথি ও তাঁর স্বজনরা।
শনিবার (২রা অক্টোবর) সকাল ১১ টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। কিন্তু রাস্তায় প্রচন্ড যানজটের কারণে ভর্তিচ্ছু তিথি কেন্দ্রের গেটে এসে পৌঁছায় ১১ টা ২৫ মিনিটে। ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী এত দেরি করে আসায় তাকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি সেখানে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
তাঁর অভিভাবক এবং আশেপাশের কয়েকজন ঢাকা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিত শিক্ষকদের বোঝাবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
এসময় তিথির মা গীতা রায় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের পর থেকে দিন-রাত পড়াশোনায় ব্যস্ত থেকেছে তিথি। আজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে খুব সকালে গোপালগঞ্জ থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। কিন্তু বরিশাল নগরীর চৌমাথা ও সাগরদি এলাকায় যানজটে আটকে পরার কারণে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে ব্যার্থ হন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.খোরশেদ আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিধি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু তিথি রায় পরীক্ষা শুরুর অনেক পরে উপস্থিত হয়। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে জানালে তারা মেয়েটিকে কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত