নরসিংদী জেলা কারাগারে রোকন মিয়া (৩৫) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে স্বজনদের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মৃত্যু হলেও ১৩ ঘণ্টা পর আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় নিহতের স্বজনদের জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খবর পেয়ে স্বজনরা নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন। নিহত রোকন মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় রোকন মারা গেছে। অথচ পরিবারকে জানানো হয়েছে আজ (বুধবার) সকাল ১০টায়। সে অসুস্থ হয়ে পড়ে অথচ স্বজনদের জানানো হয়নি। মৃত্যুর ১৩ ঘণ্টা পর স্বজনদের জানানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে কারা কর্তৃপক্ষ বলে—তাদের ভুল হয়েছে। স্বজনদের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
নরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শামীম ইকবাল বলেন, ‘২০২৩ সালের একটি মাদক মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ওই কয়েদি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্ত্যবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আরও পড়ুন: চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
তিনি আরও বলেন, ‘ডায়বেটিকস বা মাদকাসক্তের কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। বিস্তারিত ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। কারা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা শুনার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সকাল ১০টায় তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। এছাড়া নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করতেই পারে। কারাগারে এতোগুলো মানুষ থাকে, এখানে কাউকে মেরে ফেলার ঘটনা কারাগারের ইতিহাসে কোনো দিনই ছিল না। এটা মানুষের একটি ভ্রান্ত ধারণা।
নরসিংদীর জেলার সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট রাফিউর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালের রিপোর্টে পরিষ্কার বলা আছে তাকে যখন হাসপাতালে আনা হয় সে মৃত ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতে তাকে মৃত অবস্থায় রিসিভ করেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘লাশ ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’