শনিবার সকাল ৯টা হতে পরেরদিন রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূরবী গোলদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর পক্ষে ও বিপক্ষে দুটি গ্রুপ শনিবার সকালে ১০টার দিকে পাশাপাশি স্থানে সমাবেশ ডাক দেয়ায় এ ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর ইউএনও পূরবী গোলদার বলেন, ‘যে কোনো প্রকার অনভিপ্রেত পরিস্থিতি রোধে সদরপুর উপজেলা সদরের এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কাউকে এ সীমানার মধ্যে সভা সমাবেশ বা জমায়েত করতে দেয়া হবে না।’
সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার ও মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সদরপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান এক সামাবেশের ডাক দেন। অন্যদিকে, নিক্সন চৌধুরীর গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সমাবেশের ডাক দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সায়েদিদ গামাল লিপু।
সদরপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান বলেন, ‘সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার ও মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সদরপুর স্টেডিয়ামে স্থানীয় জনসাধারণের উদ্যোগে শনিবার সকালে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সায়েদিদ গামাল লিপু জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক সদরপুর স্টেডিয়ামে শনিবার সকালে এক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়।
গত ১০ অক্টোবর চরভদ্রাসন উপজেলার উপনির্বাচনে নির্বাচন বিধিমালা ভঙ্গের অপরাধে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চরভদ্রাসন থানায় জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম এদিন সকাল ১০টায় এ মামলা দায়ের করেছেন বলে ইসি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান।
এ মামলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ বিধি অনুযায়ী নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী জেলা প্রশাসকের সাথে অশোভন আচরণ করেন এবং চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে প্রকাশের অনুপযোগী ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে।