এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আটোয়ারী থানায় জসিম উদ্দিন ও তার সন্তানসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
স্থানীয়রা জানায়, রসেয়া এলাকার আমিরুজ্জামান একজন জোতদার মানুষ। তার ৩ মেয়ে। তিনি সম্পদ দেখভাল করার জন্য প্রায় ১০ বছর আগে কিসমত রয়েসা এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করেন। ২০১৪ সালে আমিরুজ্জামান মারা যান। ওই বছরেই তার স্ত্রী উম্মে তাহেরা খাতুন ও বড় মেয়ে রওনক জাহান মারা যান। শুরুতে জমির হিসাব-নিকাশ ঠিকভাবে দিলেও আমিরুজ্জামানের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর টালবাহানা শুরু করে জসিম। এ সময় আমিরুজ্জামানের দুই মেয়ে জাফরীন জাকিয়া খাতুন ও শাহিদা জাহান হিসেব নিকেশ চাইলে তাদের উল্টো হুমকি দেয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ নিয়ে আগেও অনেক বিচার শালিস হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। গত বুধবার আমিরুজ্জামানের মেজ মেয়ে জাফরীন জাকিয়া তার স্বামী কামরুজ্জামান আমিন নিয়ে জমি বুঝে নিতে ওই এলাকায় গেলে জসিম ও তার লোকজন রাস্তাতেই তাদের আটক করে। একপর্যায়ে তাদের মারধর শুরু করে। মোবাইল ও ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় আমিরুজ্জামানের প্রাক্তন আধিয়ার আব্দুল গফ্ফার ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জসিমউদ্দিন বলেন, ‘আমিরুজ্জামান আমাকে তার বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন। বাড়িটি খাস জমিতে রয়েছে। এছাড়া আমি তাদের সম্পদ দখল করেছি এটা মিথ্যা।’
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন জানান, তাদের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছে। এর আগে থানায় সমঝোতা করে দেয়া হলেও তারা মানছেন না। ‘আমি ৩টি অভিযোগ পেয়েছি। দুটি অভিযোগ জসিমের বিরুদ্ধে এবং ১টি অভিযোগ জাফরীন জাকিয়াদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ বলেন তিনি।