বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী সাইফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত আমি পাহারা দিয়েছিলাম। এরপর আমি ঘুমাতে যাই। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পাই ল্যাবের দরজা খোলা। পরে আমি বিষয়টি শিক্ষকদের জানাই।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, বাড়ছে শীতজনিত রোগ
শেখের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, তার স্কুলের নৈশপ্রহরী সাইফুল ইসলাম রাতে স্কুলেই থাকেন। তা সত্ত্বেও শুক্রবার গভীর রাতে বিদ্যালয়ের ল্যাবের দরজার হ্যাজবল খুলে চোরেরা লাপটপ নিয়ে যান। এসময় একটি রাউটারও নিয়ে গেছে চোরেরা। ‘শনিবার সকালে খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পাই কম্পিউটার ল্যাবের ১১টি ল্যাপটপ চুরি হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে ২১ সরকারি কর্মকর্তার সিলসহ প্রতারক আটক
চুরি যাওয়া ল্যাপটপগুলোর মূল্য প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গিয়ে সবকিছু দেখে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার, পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন:প্রাথমিকভাবে পঞ্চগড়ে ২১৬০০ জন করোনার টিকা পাচ্ছেন
জামাল হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে শীতার্তদের পাশে কম্বল নিয়ে জেলা প্রশাসক
পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, ওই বিদ্যালয়ের ল্যাব থেকে ১১টি ল্যাপটপ চুরি হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। প্রধান শিক্ষক ও নৈশপ্রহরী এর দায় এড়াতে পারেন না। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।