বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস টিকা প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য গঠিত কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে প্রথম ধাপে আসছে ৯৬ হাজার ডোজ টিকা
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান জানান, আধুনিক সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এই করোনার টিকা দেয়া হবে। একাধিক টিম এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী রবিবার পঞ্চগড়ে করোনার ভ্যাকসিন আসবে। এখন তালিকা তৈরির কাজ চলছে।’
ডা. ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪০০টি ভায়াল আসবে। এর একটি থেকে ৯ জনকে দেয়া হবে। সে হিসেবে ২১ হাজার ৬০০ জনকে এই টিকা দেয়া যাবে। করোনার টিকা রাখার স্থানসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের এই টিকা দেয়া হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (সার্জারী) আমির হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজাফফর হোসেন, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম সফিক ও মেডিকেল অফিসার তোফায়েল আহমেদ প্রথমে করোনার টিকা নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে সভায় জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দেশে কোভিড-১৯ টিকাদান শুরু ২৭ জানুয়ারি
সভায় জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন জানান, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা, সম্মুখ সারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়দী রোগে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়নে উপজেলা কমিটিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান, করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ করাসহ কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টিকা নিতে আগ্রহীদের প্রত্যেককে নিজ নিজ উদ্যোগে নিবন্ধন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা কি মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে?
সভায় কমিটির সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজাফফর রহমান, কমিটির সদস্য ও প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলমসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা সংরক্ষণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার নির্দেশ