হিন্দু সম্প্রদায়ের এ মহোৎসবে ফরিদপুরে মোট ৭৩৮টি পূজা মণ্ডপের জন্য মোট ৭৪টি মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ২৪টি কুইক রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রয়েছেন।
তারা ২২ অক্টোবর হতে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচদিন পূজামণ্ডপের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্টে কার্যালয়ে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স ও কুইক রেসপন্স টিম মোতায়নের আগে ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপপরিচালক ও জেলা কমান্ড্যান্ট মো. সেলিমুজ্জামান।
ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, আনসার ও ভিডিপি সদস্য সব সময় পূজামণ্ডপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে কিন্তু এবছর কোভিড-১৯ এর কারণে আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের নির্দেশে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আনসার ও ভিডিপি সদস্য সার্বক্ষণিক দিনরাত ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে । দায়িত্ব পালনকালে সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। তিনি সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি সমান সুযোগ নিশ্চিত করা ও সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পালনে উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ দেশে কোনো দুস্কৃতিকারীর দুস্কর্মে যাতে ধর্মীয় উৎসব পালনে ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সকল আনসার ও ভিডিপির স্ট্রাইকিং ফোর্স সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশি দেন।
পরে ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় মোতায়েন করা আনসার সদস্যদের ডিউটি পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে জেলা কমান্ড্যান্ট মণ্ডপে দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক বিতরণ করেন এবং শিশুদের হাতে শুভেচ্ছা পুরস্কার প্রদান করেন। সেইসাথে দায়িত্ব পালনে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তা বিষয়ে পুনরায় সতর্ক থাকার বিষয়ে জোরারোপ করেন।
এ সময় সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. সাঈদুর রহমান, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক রাজিবুল ইসলাম, সদর, ফরিদপুরসহ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।