আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ঢাকা, টোকিওর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে ‘আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন’ নামে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সোমবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংস্থা ও সাংবাদিকদের নিয়ে এক অবহিতকরণ সভায় এই তথ্য জানান উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: এবছর ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে না: প্রতিমন্ত্রী
ব্যুরোর সহায়তায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা ‘প্রত্যয়’ যৌথভাবে এ সভাটির আয়োজন করে।
সভায় জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারোর উপপরিচালক সৈয়দ মোক্তার হোসেন জানান, সারা দেশে একযোগে শুরু হতে যাচ্ছে ‘আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন’ কর্মসূচি। ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে প্রতি উপজেলায় ৭০টি করে শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রতি কেন্দ্রে একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ৩০ জন করে শিশু শিক্ষার্থী থাকবে। যাদের পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যাতে তারা নিরক্ষরতার অভিশাপমুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে।
আরও পড়ুন: জ্বর নিয়ে ভোলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মৃত্যু
তিনি জানান, শেরপুরের সদর ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ‘আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন’ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। তিন বছর মেয়াদি এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে জেলায় বিদ্যালয় বহির্ভূত কোনো নিরক্ষর শিশু থাকবে না।
সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশু জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। জরিপ কাজ শেষে বাস্তবায়নকারী সংস্থার মাধ্যমে শিগগিরই শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, শিক্ষক নিয়োগ ও পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বোয়ালমারীর প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নিবেদিত ইউএনও ঝোটন চন্দ
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারোর উপপরিচালক সৈয়দ মোক্তার হোসেন, ‘প্রত্যয়’র নির্বাহী পরিচালক রেবেকা ইয়াসমিন রেবা, সদর উপজেলা সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মজু, শফিকুল ইসলাম মিজু প্রমুখ বক্তব্য দেন।