ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী একটি বাসের যাত্রী মাদরাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ওই বাসের কন্ডাক্টর ও হেলপারসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ আগস্ট) বিকালে ভাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।
পরে মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- প্রচেষ্টা পরিবহনের কন্ডাক্টর আসিফ সরদার (২২), হেলপার রাকিব মাতুব্বর (২৪) এবং তার মা লিলি বেগম (৫০)।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
জানা যায়, গত রবিবার (৩০ জুলাই) বিকালে ফরিদপুরের নগরকান্দার পীরেরগ্রামে যাওয়ার জন্য বাবুবাজার থেকে প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন ভুক্তভোগী। তার জন্য ভাঙ্গায় অপেক্ষা করছিলেন তার বাবা। মেয়েকে না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন দিলে সেটিও বন্ধ পান তার বাবা। খোজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে পুলিশকে জানানো হয়।
ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার পরিদরর্শক (এসআই) জুয়েল বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। এরপর সোমবার সকালে ওই বাসের সুপারভাইজার আসিফকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্য মতে হেলপার রাকিবের বাসা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ভাঙ্গায় পৌঁছানোর পর মেয়েটিকে বাস থেকে না নেমে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কিছুদূর সামনে নিয়ে নামিয়ে হেলপার রাকিবুলের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই মনির বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড