১১ বছর আগে ৫ মে প্রবাসী শহিদুল ইসলাম ও তাসলিমা আক্তারের সংসারে খুশির বন্যা নিয়ে আসে ফুটফুটে তানিসা। প্রতি বছর দিনটি ওই পরিবারের জন্য আনন্দের। জন্মদিনের পরদিনই নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে নৃশংসতার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় তানিসা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের ছাদে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা তাকে জবাই করে খুন করে। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ গ্রামে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছেলের হাতে মা হত্যার অভিযোগ
নিহত কিশোরী শহরের ডাক্তারপাড়া মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল তানিসা ইসলাম।
তানিসা ইসলামকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক চাচাতো ভাইকে আটক করেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে নিশানের জুতা পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে বাড়ি থেকে আটক করে। সে ওই বাড়ীর মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘ছেলের’ হাতে বাবা খুন
ধারণা করা হচ্ছে, তানিসাকে একা পেয়ে নিশান ধর্ষণের চেষ্টা চেলায়। ব্যার্থ হয়ে সে চাচাতো বোনকে খুন করে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওমর হায়দার বলেন, “লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। তার গলায় অস্ত্রের আঘাত ও রশি প্যাচানো ছিল।”
নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভাইয়ের হাতে পুলিশের এসআই খুন
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুনের কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়। এখানে সিআইডি ও পিবিআই টিম এসেছে। আমরা বেশ কিছু তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেছি।
স্বল্প সময়েই এই খুনের রহস্য উদ্ধার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।