রবিবার সকালে সালনা-শিমুলতলী আঞ্চলিক সড়ক এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাদের।
গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় আটলানটেক্স এ্যাপারেলস (প্রা:) লি. নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সকাল থেকে কারখানার সামনে সালনা-শিমুলতলী আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন, যাতে শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করা হয়।
পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে বেলা ১২টার দিকে বিক্ষোভ শেষ করে শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন বলে জানা যায়।
অপরদিকে, স্টাইল ক্যাপ নামে অপর একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একই দাবিতে ভোগড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
বেলা ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্টাইল ক্যাপ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিলেন বলে ইউএনবি’র গাজীপুর প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন।
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, করোনাভাইরাস আতঙ্কে সারাদেশে পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলে তারা বেতন বকেয়া রেখেই বাড়ি চলে যান। পরে মালিকপক্ষ কারখানা চালু করলে কাজে যোগ দিলেও মার্চ মাসের বকেয়া বেতন দিতে গরিমসি শুরু করলে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিকে করোনা ঝুঁকির মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার খবরে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। কিন্তু গণপরিবহন এখনও বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ায় রিকশা ও ভ্যান ও পায়ে হেঁটে দূর-দূরান্ত থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করছেন তারা।
পুলিশ জানায়, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানা চালু ছিল। নতুন করে আবার কিছু কারখানা খুলতে শুরু করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শনিবার রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো ধীরে ধীরে খুলে দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
অপরদিকে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, ৮৫৬টি কারাখানা খুলে দেয়ার অনুমতির ব্যাপারে তাদের ওপরে চাপ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৯৯৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।