জেলা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদ। মাসব্যাপী দ্বিতীয় দফা বন্যায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গাইবান্ধার চার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। যে যেভাবে পেরেছেন সেভাবেই নিজের সম্বল ও জানমাল রক্ষা করেছেন। কেউ পানিবন্দী আবার কেউ নদী পাড়ের বাঁধ বা উঁচু স্থানে গবাদিপশু নিয়ে গাদাগাদি করে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন অবস্থায় নানা সংকট ও সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন তারা। রয়েছে খাবার, জ্বালানি, গো-খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে অনেক এলাকা বিলীন হয়ে গেছে।
জেলায় পানিবন্দী অন্তত দেড় লক্ষাধিক পরিবার। চরাঞ্চল কঞ্চিপাড়া, কামারজানি, মোল্লারচর, কাপাসিয়া, হরিপুর, বেলকাসহ ১৫৬টি চরের পানিবন্দী মানুষের এবারের ঈদ উদযাপন তো দূরের কথা, খাবার ও পানি সংকটের মধ্যেই তারা দিন পার করছেন। অধিকাংশ পরিবারের কোরবানি দেয়ার মতো ক্ষমতা নেই।
ফুলছড়ি উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ বলেন, ‘আমরা হয়ত সামান্য চাল দেই বানভাসীদের মধ্যে, কিন্তু তাদের পুরো চাহিদা তো মেটাতে পারি না। তারা নদী ভাঙনের শিকার ও দীর্ঘ দিন ধরে পানিবন্দী। তাদের দুর্দশা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। বানভাসী এলাকার শিশুরা নতুন কাপড়ের কথা ভাবলেও বড়দের মধ্যে ঈদের কোনো আমেজ নেই। বন্যা সামলাতেই তারা ব্যস্ত। এবার হয়ত কারও ভাগ্যে জুটবে না নতুন কাপড় ও এক বেলা ভালো খাবার।’