শনিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ স্থলবন্দরটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে বাংলাবান্ধার অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। এ বন্দরের সাথে প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের যোগাযোগ হচ্ছে। বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। তিন দিকে সীমান্ত থাকায় বন্দরের জায়গা কম। তাই অবকাঠামোসহ অন্যান্য ব্যাপারে টেকসই চিন্তা করতে হবে।’
এ ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী মহলসহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সব উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সরকার এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে কাজ করছে। সরকার দেশের এবং মানুষের অগ্রগতিকে ধরে রাখতে চায়।’
তিনি জানান, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলমান। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে অন্যান্য দেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনের চিন্তাভাবনা চলছে। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের প্রকল্প অচিরেই চূড়ান্ত হবে।
‘আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হলে এ স্থলবন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের রাজস্ব আয়ও বেড়ে যাবে। তাই আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে অন্যান্য দেশের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ডাবলু, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।