গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে হাফিজুর রহমান তালুকদার ওরফে ছোট (২৯) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পিবিআই জানায়।
গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি হলেন- চিতলমারী উপজেলার চৌদ্দহাজারি গ্রামের শওকত তালুকদারের ছেলে ইকবাল তালুকদার (১৯) ও একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সাকিব (১৪)। তাদেরকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানায়, শিশু রিফাত হত্যা মামলায় রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে তারা। রিফাত হত্যা পরিকল্পনা এবং হত্যা মিশনে ছয় থেকে আটজন অংশ নেন। সোমবার পর্যন্ত তারা অভিযান চালিয়ে হত্যা মিশনে অংশ নেয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ এবং পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে রিফাতকে হত্যা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
পিবিআইয়ের খুলনা বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান মিয়া জানান, গত ২৬ জানুয়ারি ছোটকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। এরপর ছোট নিজে ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জবানন্দিতে তিনি রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
অপর আসামিদের ধরতে তারা চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।
এসময় পিবিআইয়ের বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক এবং রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আসামি হাফিজুর রহমান তালুকদার ওরফে ছোট বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার সাবোখালী গ্রামের আব্দুল হামিদ তালুকদারের ছেলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর শিশু রিফাত তালুকদারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে কাঁদামাটি আর ময়লা আবর্জনা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহত রিফাত তালুকদার (৫) বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চৌদ্দহাজারি গ্রামের মান্নান তালুকদারের ছেলে।