তারা হলো- বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া মাঝপাড়া গ্রামের মৃত চান্দ আলীর ছেলে জামাল মিয়া (১৯) এবং ওসামনীনগর উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের সাদেক আলীর মেয়ে ও স্থানীয় জামিয়া পাঁচপাড়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী হুমায়রা বেগম ওরফে নুর জাহান আক্তার লিজা(১৫)।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আধুয়া গ্রাম থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়।
এদিকে, শনিবার হুমায়রার বাবা সাদেক আলী মেয়েকে অপহরণ করার অভিযোগে আটক জামাল মিয়া ও অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, আত্মীয়তার সম্পর্কে হুমায়রা আক্তারের ফুফুর সৎ শাশুড়ির ছেলে জামাল মিয়া। হুমায়রা প্রায়ই তার ফুফুর বাড়ি জানাইয়া গ্রামে বেড়াতে যাওয়া-আসা করে। সেই সুবাদে প্রায় বছর খানেক পূর্বে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত ২৬ আগস্ট বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে আদালতে এফিডেফিটের মাধ্যমে বিবাহ করে তারা। এরপর হুমায়রাকে নিয়ে জামাল জগন্নাথপুরের আধুয়া গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নিলে সেখান থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় তাদের আটক করে পুলিশ।
বিশ্বনাথ থানার এসআই নুর হোসেন জানান, কিশোরী হুমায়রা বেগম প্রায় ১০/১২ দিন পূর্বে তার ফুফুর বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে বেড়াতে যায়। তখন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বুধবার হুমায়রাকে অপহরণ করে জামাল। হুমায়রার বাবা অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিখোঁজের দুদিন পর জগন্নআথপুর উপজেলার আধুয়া গ্রাম থেকে হুমায়রাকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত জামালকে আটক করা হয়। এরপর হুমায়রার বাবা বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করে।
এসঅই জানান, শনিবার দুপুরে আটক জামালকে আদালতে এবং কিশোরী হুমায়রাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।