উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের বড় সালেশ্বর গ্রামের এক ভুক্তভোগী তরুণী নিজে বাদী হয়ে সিলেটের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় একই গ্রামের মৃত নিমার আলীর ছেলে দেওয়ান হোসেন আহমদ খান (৬০) নামের ব্যক্তিকে একমাত্র আসামি করা হয়। ওই লন্ডনী এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করেছেন। ঘটনাটি লন্ডনসহ পুরো বিয়ানীবাজারে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাৎ: খুলনায় সাবেক ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
ওসি প্রদীপের জামিন না মঞ্জুর: সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন
মামলা সূত্রে জানা যায়, দেওয়ান হোসেন আহমদ খানের বাড়ি ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী হওয়ায় তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখান। এ ধরণের আলাপের ফাঁকে লন্ডন প্রবাসী তরুণীকে জড়িয়ে চুমু খান এবং তা মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন।
সম্প্রতি দেওয়ান হোসেন তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান হয়। এক পর্যায়ে তিনি ওই তরুণীকে পুরনো অশ্লীল ছবির ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালান। এতেও তিনি ব্যর্থ হলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অন্তরঙ্গ ছবি ছড়িয়ে দেন।
তরুণীর মা বলেন, ‘হোসেন লন্ডনী লম্পট প্রকৃতির। এ পর্যন্ত সে তিনটি বিয়ে করলেও টাকার প্রভাব এবং লন্ডনে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেক তরুণীর ইজ্জত নিয়েছে। তার এ ধরনের আচরণের কারণে প্রথম পরিবারের সন্তানরা তাকে বাবা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায় না।’
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচনে গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিজয়ী কাউন্সিলর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এলাকার কেউ হোসেন লন্ডনীর বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। কারণ সালাম না দেয়ার কারণেও সে এলাকার একাধিক যুবককে পিটিয়েছে।’
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, ‘মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেয়া হবে।’