এলাকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তার আগমন বাতিল করা হয়েছে।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের রামদা এলাকার জামিয়া দ্বীনিয়া আসআদুল উলুম মাদরাসার ৭১তম বার্ষিক জলসায় প্রধান অতিথি হিসেবে এই হেফাজত নেতার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। দুই বছর আগে এই মাদরাসার ওয়াজ মাহফিলে তার আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের মহাসচিব কাসেমী মারা গেছেন
সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য গত শনিবার মাদরাসার সুরা আমেলার সদস্যরা বৈঠকে বসেন। সেখানে মামুনুল হকের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বাদ দেয়ার প্রস্তাব উঠলেও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ে আসার ব্যাপারে অটল থাকেন। পরে প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের চাপে মামুনুল হককে আনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তারা।
আরও পড়ুন: কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি হেফাজতের
এ বিষয়ে আলীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আমি মাদরাসার সুরা আমেলার সদস্য, তবে সর্বশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম না। মামুনুল হককে মাদরাসার মাহফিলে নিয়ে আসার বিষয়ে আমরা দলীয় একটি বৈঠকে আলোচনা করেছি, সেখানে আমরা নীতিগতভাবে সমালোচিত এই নেতাকে এলাকায় না আনার ব্যাপারে একমত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: হেফাজতের নতুন আমির বাবুনগরী, কাসেমী মহাসচিব
মাদরাসার মুহতামিম ইউসুফ আহমদ খাদিমানী বলেন, ‘এই মাহফিলের জন্য দুই বছর আগে ওনার সম্মতি নেয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে গেছে।’
আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, ‘মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মাহফিলের দাওয়াত দিলে বিষয়টি জানতে পারি। কোনো অবস্থাতেই যাতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সেদিকে খেয়াল করে মাহফিলে মামুনুল হকের না আসার ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হেফাজতে ইসলামের মিছিল ও সমাবেশ
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, ওয়াজ মাহফিলে মামুনুল হককে না আসার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।