নিহতদের মধ্যে সাতজন হলেন- আব্বাছ উদ্দিন (৬০), ইমন (২৬), রাব্বি, মহসিন, রাজিব, আসমা ও সুমনা (৩৫)।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, বরিশাল বিমানবন্দর থানার ক্ষুদ্রকাটি গ্রামের আব্বাছ উদ্দিনের পরিবার বর্তমানে নারায়নগঞ্জের পাগলা এলাকায় বসবাস করছেন। শুক্রবার ভোরে তার ছেলে ইমন খানের বিয়ে উপলক্ষে তারা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল গ্রামের উদ্দেশ্যে একটি মাইক্রোবাস যোগে রওনা হন। সকাল সাড়ে ৬টায় তাদের বহনকারী গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো চ-১৯-৫৪৬২) কান্দিগাও নামকস্থানে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে গাড়িটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ আটজন মারা যান। চালকসহ গুরুতর আহত হন পাঁচজন।
স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আহতদেরকে সংকটাপন্ন অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুমনা নামে আরেক যাত্রী মারা যান।
দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ের পুলিশ, নবীগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করেন।
দুর্ঘটনার কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।