ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।
আহতরা হলেন- মাহফুজুল হক (২৩), নাইমুল ইসলাম (২০) এবং আকিব হোসেন (২০)। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এবং শনিবার সকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়। সংঘর্ষে লিপ্ত দুই গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আজম নাছিরের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে সকালে সংঘর্ষের পর চমেক একাডেমিক কাউন্সিলে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। এর আগে গত মার্চে একই ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সিট দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, রাতের ঘটনার জের ধরে সকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। কি কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘটনার পর হাসপাতাল ও ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি ওসি। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান তিনি।
চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে। আমরা সব শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেছি। এছাড়া এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ড. মতিউর রহমানকে।
আরও পড়ুন: চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চমেক হাসপাতালে আগুন: লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি